ইউটিউব কথাটির সাথে আমার ছোট-বড় প্রায় সবাই পরিচিত। যাদের একটি এন্ড্রয়েড ফোন আছে তারা দিনে অন্তত কম হলেও , একবার ইউটিউব থেকে ঘুরে আসি । কারণ সময় নষ্ট করার অন্যতম একটি অনলাইন মাধ্যম ইউটিউব । ইউটিউব এ সকল প্রকারের ভিডিও পাওয়া যায় । সেগুলো আমরা সময় নষ্ট করি , বসে বসে দেখি ইউটিউব ।
ভিডিও এসইও কি ??ইউটিউব ভিডিওতে এসইও কিভাবে করবেন ?
আচ্ছা কখনো ভেবে দেখেছেন , কে বা কারা এই ভিডিওগুলো ইউটিউবে দিয়ে রেখেছে ? আর তাদের কি বা লাভ হচ্ছে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে । যারা ইউটিউবে এই ভিডিওগুলো দিয়ে রেখেছে তারাও আপনার মত মানুষ । তারা কি জন্য সময় নষ্ট করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ? তাদের কি সময়ের কোন দাম নাই ??
এমন অনেক প্রশ্ন আছে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানলে আপনি হয়তো অবাক হবেন । ফেসবুকে যেমন , একটা আইডি থাকে । ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড দেয় তাদের একটা আইডি বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে , যার মাধ্যমে তারা এই ভিডিওগুলো আপলোড দেয় , আর আমরা বসে বসে দেখি । এখন আপনার মনে হতে পারে জারা ভিডিওগুলো আপলোড দেয় তাদের কি এমন লাভ হতে পারে ? আপনি জানলে অবাক হবেন যাদের ইউটিউবে একটা চ্যানেল আছে এবং চ্যানেলগুলো ভালো পজিশনে রয়েছে সেইসব চ্যানেল থেকে প্রতি বছর 50000 , 1 লাখ 5 লাখ্10 লাখ এমনকি মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ।
অবাক হচ্ছেন ভাবছেন মিথ্যা বলেছি । এর একটি কথা ও মিথ্যা না । এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ইউটিউবে ভিডিও ছেড়ে কিভাবে ইনকাম হয় । আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন ইউটিউবে যখন আপনি ভিডিও গুলো ওপেন কররে দেখতে থাকেন তার মাঝে মাঝে কিছু চলে আসে । যে এগুলো আমরা টিভিতে মাঝে মাঝে দেখে থাকি যদি আপনি ফোন থেকে ভিডিও গুলো দেখেন তাহলে দেখবেন মাঝে মাঝে আপনার ওই ভিডিওটার মধ্যে কিছু কিছু ভিডিও এন্ড চলে আসে । আবার যদি কম্পিউটার মনিটর থেকে ভিডিও গুলো দেখেন তাহলে দেখবেন ভিডিওটি ডান সাইডে অপরের দিকে একটা করে আবার মাঝে মাঝে ভিডিওটার নিচের দিকে অ্যাড শো করে ।
একটা ইউটিউব কথাটির সাথে আমরা ছোট-বড় প্রায় সবাই মূলত পরিচিত । তিন প্রকার এড ভিডিও শো করে । যেমন, স্কিপ অ্যাড , নন স্কিপ অ্যাড , ব্যানার এড এই অ্যাড গুলো থেকেই মূলত ইনকাম হয় ।
ইউটিউবে যে মালিক রয়েছে সে এই অ্যাড গুলো এড কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয় । তারপর ভিডিও গুলোতে শো করায় ।
একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি , যদি একটা ইউটিউব এর মালিক এক কোম্পানির কাছ থেকে 100 টাকায় কিনে নেয় , যদি কোন ভিডিও শো করে তাহলে ওই ভিডিওটা মালিককে 50 টাকা দেয় আর বাকি 50 টাকা ইউটিউব এর মালিক রেখে দেয় ।
আসলে এভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম হয় এখন আপনার মনে হতে পারে, এটা থেকে বা কত ইনকাম হবে । ফেসবুক এ যেমন ফ্রেন্ড থাকে 1000 দেড় হাজার 2500 যায় ঠিক তেমনি ইউটিউবে এমন ফ্রেন্ড থাকে তবে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায় না । ইউটিউব এর কে বলা হয় সাবস্ক্রাইবার ।
আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকেন তাহলে মাঝে মাঝে দেখবেন ভিডিওর মধ্যে বলা হয় যে এখনই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশের ঘন্টাটি বাজিয়ে দিন । এটার কারণ আপনি যদি তার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করেন , অর্থাৎ আপনি ওই চ্যানেলটি কে ফলো করলে আর ঘন্টাটি বাজিয়ে দেন , তাহলে ওই চ্যানেলের যত নতুন নতুন ভিডিও আসবে সবগুলো নোটিফিকেশন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার এ পেয়ে যাবেন ।তাদের চ্যানেল অনেক বড় অর্থাৎ পাঁচ লাখ, 10 লা্ 20 লাখ, 25 লাখ ইত্যাদি সাবস্ক্রাইবার । এইসব চ্যানেলে যখন একটা ভিডিও আপলোড করে চ্যানেলের মালিকরা তখন একটা ভিডিও চলে আসে এটি ভিও যত বেশি হবে অর্থাৎ যত বেশি লোককে দেখবে ততো বেশি ঐ ভিডিওটিতে অ্যাড শো করবে ।
বাংলাদেশ এর জন্য টাকা একটু কম , অন্যান্য দেশের তুলনায় । তবে দেখা যায় একটি ভিডিওতে 2020 এর জন্য এক ডলার , তবে এটা কমবেশি হতে পারে । এবার আপনি চিন্তা করুন যাদের চ্যানেল অনেক বড় তাদের কত টাকা ইনকাম হয় । এমন অনেক চ্যানেল আছে যাদের লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার তাদের বছর ইনকাম আছে কোটি কোটি টাকা ।
এমন কিছু চ্যানেলের নাম আমি দিয়ে দিচ্ছি যেগুলো আপনার ইউটিউব বা গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন ।
যেমন,
- PewDiePie
- Dude Perfect
- Smosh
- BB Ki Vines
- Ms Tv
- মায়াজাল
এমন আরও অনেক চ্যানেল আছে , যেগুলো আপনার একটু গুগলে সার্চ করলে দেখতে পারবেন যে আমি যে কথাগুলো বললাম আসলে এটা সত্য কি না । ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আমাদের সর্বপ্রথম ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে তারপর সেখানে সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করতে হবে ।ভিডিও আপলোড করলে হবে না এর অনেক নিয়ম নীতি রয়েছে যেগুলো মেনে আমাদের ভিডিও আপলোড করতে হব।
তারপর সে ভিডিওগুলোকে করতে হবে যাতে আমাদের ভিডিও গুলো খুব দ্রুত ভাইরাল হয় ।
এইসব নিয়ে আমি কয়েকটি পোস্ট করব । আপনি যদি এই ব্যাপারে ইন্টারেস্ট থাকেন তাহলে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন তাহলে আমি আরো দ্রুত এই সিরিজ গুলো নিয়ে আসবো ধন্যবাদ ।
0 Comments